প্রতি বছর ৭ মার্চ দিনটি জন ঔষধি দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়। এর উদ্দেশ্য হল, এই প্রকল্প সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি করা এবং জেনেরিক ওষুধের ব্যবহার বাড়ানো। দেশজুড়ে ১-৭ মার্চ সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জাতীয় রাজধানী দিল্লিতে এই উদযাপন অনুষ্ঠানের সূচনা হয় ১ মার্চ। সাতদিনের জন ঔষধি দিবস, ২০২৫ উদযাপনের সূচনা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী জগৎ প্রকাশ নাড্ডা।

২০০৮-এর নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় জন ঔষধি পরিযোজনা প্রকল্প (পিএমবিজেপি)-এর সূচনা হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল, সুনির্দিষ্ট প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় জন ঔষধি কেন্দ্রগুলি থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নতমানের ওষুধ জনসাধারণকে দেওয়া। পিএমবিজেপি-র প্রসারের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী একটি রথ ও একটি প্রচারযানের আনুষ্ঠানিক যাত্রার সূচনা করেন। সাতদিনের এই উদযাপন কর্মসূচি বিভিন্ন দিন বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠানের জন্য নির্দিষ্ট হয়েছে। যেমন – দ্বিতীয় দিন আরোগ্য মেলা এবং প্রবীণ নাগরিকদের জন্য স্বাস্থ্য ক্যাম্প, তৃতীয় দিন শিশুদের অংশগ্রহণ ও বিভিন্ন পুষ্টিকর দ্রব্যের বিতরণ, চতুর্থ দিন মহিলাদের জন্য স্যানিটারি প্যাড বিতরণ ও সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া জন ঔষধি দ্রব্যগুলিকে তুলে ধরা, পঞ্চম দিন দেশের ৩০টি শহরে ফার্মাসিস্টদের সচেতনতা গড়ে তুলতে আলোচনাচক্র, ষষ্ঠ দিন জন ঔষধি মিত্র স্বেচ্ছাসেবী নথিভুক্তিকরণ অভিযান এবং সপ্তম দিন জন ঔষধি দিবস হিসেবে উদযাপন।
দেশের প্রত্যেকটি প্রান্তেই যাতে সাধারণ নাগরিকরা সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নতমানের ওষুধ পেতে পারেন, সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী জন ঔষধি পরিযোজনা। এখন দেশজুড়ে সব জেলাগুলিতে ১৫ হাজারেরও বেশি জন ঔষধি কেন্দ্র রয়েছে। এতে সুলভে ওষুধ পাওয়াই কেবল নয়, কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রও প্রস্তুত হয়েছে, স্থায়ী উপার্জনের বন্দোবস্ত হয়েছে। সরকার জেনেরিক ওষুধের প্রসার ঘটাচ্ছে এবং জনস্বাস্থ্যকে শক্তিশালী করে তোলার ক্ষেত্রে উদ্যোগ গড়ে তোলা হচ্ছে।